এবিএনএ: যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপি এখন মিছিল-সমাবেশ করছে। আমরা বলছি এখন যত মিছিল-সমাবেশ করার ইচ্ছা করে নেন। আগামী ১১ নভেম্বর যুবলীগ সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। ওই দিনের পর সারা দেশের রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে। তখন দেখা যাবে কত ধানে কত চাল।
বক্তব্য দেন- রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সহ-সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য রবিউল ইসলাম রেজভী প্রমুখ। এ সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং রংপুর মহানগর-জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষিণ চন্দ্র রায় ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান শাহিন যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপির সমাবেশ হলে আওয়ামী লীগ পরিবহণ ধর্মঘট দেয় না। এ ধর্মঘট দেন পরিবহণ শ্রমিকরা। কারণ পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা জানেন বিএনপি অতীতে আন্দোলন সমাবেশের নামে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, ভাঙচুর করেছে। পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এ কারণে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা বিএনপির হামলা ভাঙচুরের ভয়ে পরিবহণ ধর্মঘট দেন। তারা ভয়ে গাড়ি বের করেন না। বিএনপির ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বিএনপি চাঁদাবাজদের দল। এই দলের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূলের নেতা পর্যন্ত চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।